আসুন অনেক হাসি

মন কে প্রফুল্ল এবং সদা সতেজ রাখবার জন্য 'হাসি' র কোন বিকল্প নেই। প্রমাণিত যে 'হাসি' মানুষের হৃদ সাস্থকে ভাল রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের মত নীরব ঘাতক কে দূরে রাখে। আর কৌতুক পড়ে হাসি পায় না এমন মানুষ খুব কম আছে। তাই হাসুন ,অনেক হাসুন, প্রাণ খুলে হাসুন। হাসতে কখনো কার্পণ্য করবেন না। আমার সংগৃহীত এই কৌতুক গুলো পড়ে যদি আপনি অনেক হাসেন তবে আমার এই ব্লগের সার্থকতা।

Apr 2, 2013

২১৫

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন স্ত্রী। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘আর জীবনে কোনো দিন আমি এমুখো হব না। থাকো তুমি একলা। আমি চললাম বাবার বাড়ি।’
স্বামী কটা টাকা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘যাও যাও। আর এই নাও, যাওয়ার ভাড়াটা নিয়ে যাও।’
স্ত্রী মুখে ঝামটা মেরে বললেন, ‘আর ফেরার ভাড়াটা কে দেবে শুনি?’

২১৪

বিলু আর টিপু, দুজন ক্লাস ফোরে পড়ে। একদিন টিফিন পিরিয়ডে দুজনের বেধে গেল তুমুল ঝগড়া! রেগেমেগে টিপু একসময় বসার চেয়ারটাই ছুড়ে মারল বিলুর দিকে। অল্পের জন্য রক্ষা পেল বিলু, কিন্তু ততক্ষণে হেড স্যারের কানে খবর পৌঁছে গেছে।
হেড স্যার: টিপু! তুমি বিলুর দিকে চেয়ার ছুড়ে মেরেছ কেন?
‘ স্যার টেবিলটা বেশি ভারী ছিল।’

২১৩

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে বললেন স্বামী, ‘দেখো, আমাকে রাগিয়ে দিয়ো না। রেগে গেলে কিন্তু আমার ভেতরের পশুটা বেরিয়ে আসবে।’
উত্তরে বললেন স্ত্রী, ‘আসুক বেরিয়ে! আমি ইঁদুর ভয় পাই না!’

২১২

বাড়ি ফিরেই স্বামী বললেন, ‘কইগো, শুরু হওয়ার আগে আমাকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাওয়াও’।
স্ত্রী পানি দিলেন।
খানিক বাদে স্বামী বললেন, ‘কইগো, শুরু হওয়ার আগে ভাতটাও দিয়ে দাও।’ স্ত্রী ভাতও দিলেন।
ভাত খেয়ে নিয়ে স্বামী বললেন, ‘শুরু হওয়ার আগে এক কাপ চা খাওয়াও তো…’
এবার চেঁচিয়ে উঠলেন স্ত্রী, ‘বলি কী শুরু হওয়ার আগে, হ্যাঁ? শুধু আবোলতাবোল কথা। একটার পর একটা ফরমায়েশ… আমি কি তোমার চাকর?…’
স্বামী বিড়বিড় করে বললেন, ‘শুরু হয়ে গেল!’

২১১

ভোলা মিঞাকে ফোন করেছে তার প্রেমিকা। শুরুতেই ধমক দিয়ে প্রেমিকা বলল, এই! মোবাইল থাকতে তুমি আমাকে চিঠি পাঠিয়েছ কেন? যদি বাবার হাতে পড়ে যেত?
ভোলা মিঞা: তোমাকে ফোন করেছিলাম তো! একটা মহিলা কণ্ঠ বলল, ‘প্লিজ, ট্রাই লেটার’। তাই লেটার পাঠানোর ট্রাই করলাম!

২১০

সর্দারজি তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছেন।
প্রিয় রফিক,
বহুদিন পর তোমাকে লিখছি। আস্তে আস্তে লিখছি, কারণ আমি জানি তুমি দ্রুত পড়তে পারো না…


২০৯

মানসিক হাসপাতালের এক রোগী একমনে কী যেন লিখছেন।
চুপি চুপি পেছনে এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার। বললেন, কী হে, চিঠি লিখছেন নাকি?
রোগী: হু।
ডাক্তার: কাকে লিখছেন?
রোগী: নিজেকে।
ডাক্তার: বাহ্! ভালো তো। তা কী লিখলেন?
রোগী: আপনি কি পাগল নাকি মশাই? সবে তো চিঠিটা লিখছি। চিঠি পাঠাব, দুদিন বাদে চিঠিটা পাব, খুলে পড়ব। তারপর তো বলতে পারব কী লিখেছি!

২০৮

এক লোকের খান্ডালী বউ। লোকটিও বউটিকে অনেক ভয় পায়। একদিন সন্ধ্যায় লোকটি বিছানার উপর বসে হাতে একটা খালি বোতল নিয়ে সেটাকে একটা কাঠি দিয়ে মেরে মেরে টিং টিং শব্দ করে বাজাচ্ছিল। বউ থমক দিল, এই কী করছো, থামো!
লোকটি ভয় পেয়ে বোতলটি পকেটে রেখে দিল।
রাতের বেলা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে, সব আলো নিভিয়ে দিয়ে বউ কাছে এসে মুখের কাছে মুখ এনে খুব আদুরে গলায় বলল, করতে চাও?
লোকটি মাথা নেড়ে বলল, হ্যাঁ।
বউ বলল, ঠিক আছে করো।
লোকটি পকেট থেকে বোতল বের করে জোরে জোরে বাজাতে শুরু করল, টিং টিং টিং টিং…

২০৭

টেকনিক্যাল সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টে ফোন।
—আমি গতকাল আপনাদের কাছ থেকে কম্পিউটার কিনেছি, কিন্তু এখন সেটা কাজ করছে না।
—কখন থেকে, একটু বিশদভাবে বলবেন কি?
—আজ কম্পিউটার অন করলাম যখন, তখন অনেক প্রোপ্রামের সঙ্গে নরটন কম্যান্ডারও লোড হলো। তাকিয়ে দেখি, বাঁ পাশে ড্রাইভ ‘সি’, ডান পাশেও ড্রাইভ ‘সি’। ভাবলাম, দুটো ‘সি’ ড্রাইভ দিয়ে আমি করবটা কী! দিলাম একটা ডিলিট করে!



২০৬

প্রোগ্রামার পিতাকে শিশুর প্রশ্ন:
—বাবা, স্বরলিপি কী?
—কীভাবে যে বোঝাই… শোনো, স্বরলিপি হচ্ছে কাগজে লেখা midi ফাইল।



২০৫

বিক্রেতা: এই নিন আপনার টয়লেট পেপার। রসিদ লাগবে?
ক্রেতা: আপনি কি চান আমি এটা ব্যবহার করার পর আবার ফেরত দিতে আসবো?

২০৪

ধানের বস্তাগুলো সমেত উল্টে গেছে এক চাষির মালগাড়ি। চাষিপুত্র আপ্রাণ চেষ্টা করছিল ভারী বস্তাগুলো মালগাড়িতে তুলে রাখতে। ‘হেইও হেইও’ করে বেশ টানাহেঁচড়ার পর বস্তার নেই কোনো নড়নচড়ন।
দূর থেকে দৃশ্যটা দেখে এগিয়ে এলেন অপর এক চাষি। বললেন, ‘কী হে ছোকরা, তুমি একলা মানুষ। অত ভারী বস্তা তো তুলতে পারবে না। পাশেই আমার বাড়ি। চলো, আমি বাড়ি যাচ্ছি খেতে। তুমিও আমার সঙ্গে খাবে, তারপর দুজন মিলে বস্তাগুলো তুলে ফেলব।’
চাষিপুত্র বলল, ‘না না চাচা, বাবা খুব রাগ করবেন।’
অপর চাষি: ‘আরে চলো তো।’
অবশেষে চাষিপুত্র খেতে চলল। খাওয়া-দাওয়া শেষে চাষি বলল, ‘চলো দেখি, তোমার বস্তাগুলো তুলে দেইগে।’
চাষিপুত্র: ‘চাচা, বাবা খুব রাগ করবে।’
অপর চাষি: ‘আরে, তোমার বাবাকে আমার কথা বলো। তা, উনি এখন কোথায় আছেন?’
চাষিপুত্র: ‘বস্তাগুলোর নিচে!’

২০৩

এক গাড়িচালকের গাড়িটা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেছে। বহু চেষ্টায়ও খাদ থেকে তোলা যাচ্ছে না। এই অবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন এক চাষি। বললেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমার ঘোড়াটা আপনার গাড়ি তুলে দেবে।’
ঘোড়ার রশিটা বাঁধা হলো গাড়ির সঙ্গে। ঘোড়াটা টানতে শুরু করল।
চাষি বললেন, ‘টান জনি টান, আরও জোরে টান।’
খানিক বাদেই বললেন, ‘টান রুস্তম টান, আরও জোরে টান।’
চাষি আবার বললেন, ‘রাঙ্গা, আরও জোরে টান দে!’
খুবই অবাক হলেন গাড়িচালক। বললেন, ‘আপনি আপনার ঘোড়াটাকে একেকবার একেক নামে ডাকছেন কেন?’
ফিসফিস করে বললেন চাষি, ‘আমার ঘোড়াটা আসলে চোখে কম দেখে। ও যদি জানতে পারে ও একাই গাড়ি টানছে, তা হলে ব্যাটা চেষ্টাই করবে না!

২০২

হোটেলে বসে খাচ্ছিল শওকত আর জামিল। হঠাৎ জানা গেল, কোথায় যেন ভীষণ আগুন লেগেছে।
খবর পেয়ে খাবার না খেয়েই ছুট লাগাল শওকত। পেছন থেকে ডাকল জামিল, ‘কিরে, তুই যে একজন দমকলকর্মী, জানা ছিল না তো!’
শওকত: আমি না, তবে আমার প্রেমিকার বাবা একজন দমকলকর্মী। দেখা করার এই সুযোগ!

২০১

আজিজ মিঞার কারখানায় আগুন লেগেছে। জলদি আগুন নেভাতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আজিজ খবর দিলেন দমকলকর্মীদের।
চটজলদি হাজির হলো দমকল বাহিনী। কারখানার সামনের ছোট গলিটার দুপাশের দোকানগুলো ভেঙে, সদর দরজা গুঁড়িয়ে দিয়ে, দেয়াল ভেঙে সোজা অগ্নিকুণ্ডের স্থলে গিয়ে থামল গাড়ি! প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে গাড়ির পেছনে রাখা পানির টাংকিটা ছিটকে গিয়ে পড়ল আগুনে। ব্যস, নিভল আগুন।
দমকলকর্মীদের তৎপরতা দেখে ভীষণ খুশি আজিজ। তিনি দমকল বাহিনীর প্রধানের হাতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আপনারা কী করবেন বলুন তো?’
দমকল বাহিনীর প্রধান: প্রথমেই গাড়ির ব্রেকটা ঠিক করাব!

২০০

দমকলকর্মীদের অফিসে ফোন করেছেন আবুল। ওপাশ থেকে ফোন ওঠাতেই তিনি বললেন, ‘বুঝলেন কি না, আমার বাসার পাশে দুই মাস হয় সুন্দর বাগান করেছি।’
দমকলকর্মী: অযথা কথা না বলে কোথায় আগুন লেগেছে তাই বলুন।
আবুল: জবা, গোলাপ আর টগরও লাগিয়েছি। ছোট ছোট চারা, কদিন বাদেই ফুল ফুটবে।
দমকলকর্মী: আহা! কোথায় আগুন লেগেছে?
আবুল: হাসনাহেনাগুলো অবশ্য যত্নের অভাবে একটু শুকিয়ে গেছে….
দমকলকর্মী: কোথায় আগুন লেগেছে বলবেন, না আমি ফোন রাখব?
আবুল: আগুন লেগেছে আমার পাশের বাসায়। বলছিলাম, পানি ছিটানোর সময় আমার বাগানেও যদি একটু পানি দিয়ে যেতেন….!

১৯৯

সর্দারজি বলছেন তাঁর এক বন্ধুকে, ‘জানিস, সেদিন দেখি একটা উঁচু ভবনে প্রচণ্ড আগুন লেগেছে।’
বন্ধু: তারপর?
সর্দারজি: তারপর আর কি? আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ভেতরে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। একে একে কয়েকজনকে কাঁধে তুলে জলদি বেরিয়ে এলাম।
বন্ধু: তারপর? সবাই নিশ্চয়ই তোকে খুব বাহবা দিল?
সর্দারজি: না। পরে জানলাম, তাঁরা সবাই দমকলকর্মী ছিল!

১৯৮

বাবা যুদ্ধে যাচ্ছেন। ছোট্ট জনি ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘যেয়ো না বাবা!’
বাবা বললেন, ‘আমাকে যে যেতেই হবে রে।’
‘না বাবা, না! তুমি আমাকে ফেলে যেয়ো না।’ চিৎকার করে কেঁদে উঠল জনি।
এমন সময় পেছনে এসে দাঁড়ালেন জনির মা। বললেন, ‘কাঁদে না বাবা, এখন থেকে আমি তোমাকে চিপস কিনে দেব।’
চোখ মুছল জনি। হাসিমুখে বলল, ‘ঠিক আছে
বাবা, টা টা!’

১৯৭

ওজন মাপক যন্ত্রের ওপর দাঁড়িয়ে বড় ভাই বলছে ছোট ভাইকে: দেখেছ, এটা একেবারেই ব্যথা দেয় না।
ছোট ভাই: তাহলে মা এটার ওপর দাঁড়িয়েই অমন চিৎকার করে ওঠে কেন?

১৯৬

বাবা: পিন্টু! তুমি যদি এখনই খেলা বন্ধ না করো, আমি পাগল হয়ে যাব।
পিন্টু: বাবা, আমার ধারণা তুমি ইতিমধ্যেই পাগল হয়ে গেছ। আমি খেলা বন্ধ করেছি আরও আধঘণ্টা আগে। এখন তো কেবল খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখছিলাম।