আসুন অনেক হাসি

মন কে প্রফুল্ল এবং সদা সতেজ রাখবার জন্য 'হাসি' র কোন বিকল্প নেই। প্রমাণিত যে 'হাসি' মানুষের হৃদ সাস্থকে ভাল রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের মত নীরব ঘাতক কে দূরে রাখে। আর কৌতুক পড়ে হাসি পায় না এমন মানুষ খুব কম আছে। তাই হাসুন ,অনেক হাসুন, প্রাণ খুলে হাসুন। হাসতে কখনো কার্পণ্য করবেন না। আমার সংগৃহীত এই কৌতুক গুলো পড়ে যদি আপনি অনেক হাসেন তবে আমার এই ব্লগের সার্থকতা।

Jan 23, 2013

১৩৪

অফিসে কাজে গাফিলতির কারণে বড় কর্তা বেশ রেগে আছেন মোকলেসের ওপর। বড় কর্তা মোকলেসকে ডেকে বললেন, ‘সব কাজই নষ্ট করে ফেলেছ তুমি। এই অফিসে একটা গাধা আছে, তুমি জান?’
মোকলেস বড় কর্তার অগ্নিমূর্তি দেখে মাথা নিচু করে জবাব দিল, ‘না, স্যার।’
‘নিচে কী দেখছ, আমার দিকে তাকাও !’—বড় কর্তার জবাব।

Jan 22, 2013

১৩৩

নতুন বছরের প্রথম দিনে ঘুম ভাঙতেই মিসেস মৌলী ছুটে গেলেন তাঁর স্বামী শরিফের কাছে। গদগদ স্বরে বললেন, ‘ও গো, শুনছ, কাল রাতে আমি দারুণ একটা স্বপ্ন দেখেছি!’
শরিফ: ‘কী স্বপ্ন দেখেছ?’
মৌলী: ‘দেখলাম, নতুন বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে তুমি আমাকে সুন্দর একটা হীরার আংটি উপহার দিয়েছ! এই স্বপ্নের অর্থ কী, বলো তো?’
রহস্যময় হাসি হেসে বললেন শরিফ, ‘তুমি কোনো চিন্তা কোরো না, প্রিয়তমা। আজ রাতেই এর অর্থ জানতে পারবে!’
রাতে শরিফ ঘরে ফিরলেন সুন্দর একটা উপহারের প্যাকেট নিয়ে। চটজলদি প্যাকেট খুললেন মৌলী। প্যাকেটের ভেতর থেকে বের হলো একটি বই, নাম ‘খোয়াবনামা’!

১৩২

চলার পথে কলার খোসা পড়ে থাকতে দেখলে সরদারজি মনে মনে কী ভাবেন?
উত্তর: ইশ্‌শ্‌! আজকে আবার আছাড় খেতে হবে!

একটি যুদ্ধে কয়টি অস্ত্র লাগে?
উত্তর: দুটি। একটি দিয়ে শত্রুপক্ষকে গুলি করা হয় এবং অন্যটি শত্রুপক্ষের কাছে বিক্রি করা হয়। যেন বিপক্ষ দল পাল্টা আঘাত করতে পারে।

শেয়ারবাজার থেকে কীভাবে এক লাখ টাকা তুলে আনা যায়?
উত্তর: সহজ! দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করুন!

‘সন্ধ্যার সংবাদ’ কাকে বলে?
উত্তর: যে সংবাদের শুরুতেই আপনাকে বলা হয়, ‘শুভ সন্ধ্যা’। এরপর একে একে বর্ণনা করা হয়, কেন প্রথম বাক্যটা ভুল ছিল...!

মেঝের ওপর একটা ডিম পড়ল, অথচ ভাঙল না। কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: মেঝেটা যথেষ্ট শক্ত। তাই ডিমের আঘাতে ভাঙেনি!

পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা বইটির নাম কী?
উত্তর: নারী সম্পর্কে পুরুষ যা জানেন।

যদি আপনার এক হাতে তিনটি আপেল, দুটি কমলা এবং অন্য হাতে দুটি নাশপাতি, চারটি কমলা থাকে, আপনার কী আছে?
উত্তর: অনেক বড় হাত।

সরদারজিকে কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যস্ত রাখা যায়?
উত্তর: সরদারজিকে একটি কাগজ দিন। যার উভয় দিকে লেখা আছে, ‘অপর পৃষ্ঠায় দেখুন!’

গরিলার নাকের ফুটো এত বড় কেন?
উত্তর: কারণ, তার নাক খোঁচানোর মতো যথেষ্ট মোটা আঙুল আছে!

কোন প্রশ্নটির উত্তর অধিকাংশ তরুণীই দিতে পারেন না?
উত্তর: এক্সকিউজ মি, আপনার ফোন নম্বরটা কত?

আটজন শক্ত-সামর্থ্য মানুষের একটি ১০ ফুট উঁচু দেয়াল তৈরি করতে সময় লাগল চার ঘণ্টা। তাহলে চারজন শুকনা-পটকা মানুষের ওই দেয়াল তৈরি করতে কত সময় লাগবে?
উত্তর: কোনো সময়ই লাগবে না! কারণ, আটজন শক্ত-সামর্থ্য মানুষ ইতিমধ্যেই দেয়াল তৈরি করে ফেলেছে।

কীভাবে একটা মানুষ ১০ দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
উত্তর: রাতে ঘুমাবে!

১৩১

জাহাজে জাদু দেখাত বিলি। সে জাহাজেই ছিল এক দুষ্টু তোতা। বিলির সব জাদুর কৌশলই সে ধরে ফেলত। বিলি জাদু দেখাতে গেলেই তোতাটা পেছন থেকে চিৎকার করে বলত, ‘তার শার্টের হাতায় আরেকটা কার্ড রয়েছে... আরে ওই তো, কানের পেছনে কয়েনটা লুকিয়ে ফেলল!’ এভাবে বিলির
জাদুর কৌশলগুলো ফাঁস হয়ে যেত। তোতাটাকে তাই দুই চোখে দেখতে পারত না বিলি।
একদিন প্রচণ্ড ঝড় উঠল। জাহাজ গেল ডুবে। বিলি ভেসে রইল একটা কাঠের টুকরা ধরে। কাঠের টুকরাটার ওপর এসে বসল তোতাটা। যেহেতু, দুজনের আগে থেকেই দা-কুমড়া সম্পর্ক। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না।
এভাবে দুই দিন পেরিয়ে গেল। অবশেষে মুখ খুলল তোতা, ‘ঠিক আছে, হার মানছি। নৌকাটা কোথায় রেখেছ?’

১৩০

জামাল সাহেব নিলামে একটা তোতা কিনবেন। নিলাম শুরু হলো। জামাল দাম হাঁকালেন, ‘১০ হাজার টাকা।’
ভিড়ের মধ্যে চিকন গলায় কে যেন বলল, ‘৫০ হাজার টাকা।’ জামাল সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার? কোন বড়লোকের ব্যাটা তোতাটা নিতে পারে, তিনি দেখে ছাড়বেন। জামাল বললেন, ‘এক লাখ টাকা।’ চিকন গলা আবার বলল, ‘দুই লাখ।’ জামাল এবার খেপেই গেলেন। বললেন, ‘পাঁচ লাখ।’ কান পাতলেন, নাহ্, এবার আর কেউ পাল্টা দাম হাঁকাল না।
তোতাটা হাতে নিয়ে জামাল নিলামের সঞ্চালককে বললেন, ‘এটা কথা বলতে পারে তো? নইলে এত দাম দিয়ে কিনলাম কেন?’
নিলাম সঞ্চালক বললেন, ‘কথা বলতে পারে না মানে? আপনার কী মনে হয়? এতক্ষণ কে আপনার সঙ্গে পাল্টা দর হাঁকাচ্ছিল!’

১২৯

প্রধান ফটকে লেখা আছে, তোতা হইতে সাবধান। এক অতিথি উঁকি দিয়ে দেখলেন, ভেতরে একটা নিরীহ গোছের ছোট্ট তোতাপাখি বসে আছে।
অতিথি বিড়বিড় করে বললেন, ‘ফাজলামোর আর জায়গা পায় না।’ সতর্কবাণীর তোয়াক্কা না করে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াল তোতা। কর্কশ গলায় বলল, ‘জনি, টমি, ভুলু! আক্রমণ!’ বাড়ির কোণ থেকে তিনটা বিকট দর্শন কুকুর ছুটে এল!

১২৮

করিম গেছেন তোতাপাখি কিনতে। দোকানদার তিনটা তোতা দেখালেন।
দোকানদার: প্রথম পাখিটার দাম ১০ হাজার টাকা। এটা বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
করিম: বাহ্! দ্বিতীয়টার দাম?
দোকানদার: এটার দাম ২০ হাজার টাকা। এটা শুধু তথ্যই সংরক্ষণ করে না, হিসাবও রাখতে পারে।
করিম: দারুণ! আর তৃতীয়টা? এটার দাম নিশ্চয়ই আরও বেশি?
দোকানদার: হু, এর দাম ৪০ হাজার টাকা। তবে বিশ্বাস করুন, আজ পর্যন্ত আমি এটাকে কিছু করতে দেখিনি। বাকি দুটো একে ‘সিনিয়র অফিসার’ বলে ডাকে!

১২৭

মায়ের ৯৫তম জন্মদিন। তিন সন্তান বসেছে আলোচনায়। উপহার হিসেবে কে কী দেবে, এই নিয়ে কথা হচ্ছে।
প্রথম সন্তান: আমি মাকে দেব একটা মার্সিডিজ গাড়ি। গাড়িতে করে মা ঘুরে বেড়াবেন।
দ্বিতীয় সন্তান: আমি মাকে দিচ্ছি একটা হোম থিয়েটার। অবসরে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন।
তৃতীয় সন্তান: মায়ের তো বয়স হয়েছে। চোখে কম দেখেন, কানেও কম শোনেন। কিন্তু তিনি পত্রিকা পড়তে খুব ভালোবাসেন। আবার বাড়তি কাজের লোক রাখাও তিনি পছন্দ করেন না। তাই ঠিক করেছি, আমি মাকে এমন একটা তোতাপাখি কিনে দেব, যে তাঁকে পত্রিকা পড়ে শোনাবে। ইতিমধ্যেই আমি এমন একটা তোতা পেয়েছি। দাম পড়েছে পাঁচ লাখ টাকা!
যা হোক। যথাসময়ে উপহার দেওয়া হলো। উপহার পেয়ে মা প্রত্যেক সন্তানকে একটা করে চিঠি দিলেন।
প্রথম সন্তানকে লিখলেন, ‘তুমি কেন আমাকে মার্সিডিজ গাড়ি দিলে, বুঝলাম না। আমার কি এখন ঘোরাঘুরির বয়স আছে? যা হোক, তোমাকে ধন্যবাদ।’
দ্বিতীয় সন্তানকে লিখলেন, ‘আজকাল চোখে কম দেখি, কানেও কম শুনি। সিনেমা দেখব কী করে, বলো? তবু, তোমাকে ধন্যবাদ।’
তৃতীয় সন্তানকে লিখলেন, ‘তুমিই একমাত্র, যে কিনা আমার প্রয়োজনটা বুঝতে পেরেছ। অসংখ্য ধন্যবাদ। মুরগিটা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল!’

১২৬

রফিক সাহেব ঠিক করলেন, ছেলের বিয়ে দেবেন।
ছেলেকে গিয়ে বললেন, শোন, আমি ঠিক করেছি তোর বিয়ে দেব। পাত্রীও ঠিক।
ছেলে: কিন্তু বাবা আমি তো নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চাই!
রফিক সাহেব: পাত্রী বিল গেটসের মেয়ে।
ছেলে: তাহলে বাবা আমি রাজি!
এরপর রফিক সাহেব গেলেন বিল গেটসের কাছে। বললেন, আপনার মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দিতে চাই।
বিল গেটস: কিন্তু আপনার ছেলে করে কী?
রফিক সাহেব: সে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বিল গেটস: ও! তাহলে আমি রাজি।
সব শেষে রফিক সাহেব গেলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে। বললেন, আমার ছেলেকে আপনার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট: কিন্তু আপনার ছেলের কি সেই যোগ্যতা আছে? তা ছাড়া আমার একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট আছে। আমি তো তাকে সরিয়ে আপনার ছেলেকে নিতে পারি না।
রফিক সাহেব: কিন্তু সে যদি বিল গেটসের মেয়ের জামাই হয়?
প্রেসিডেন্ট: তাহলে আমি রাজি!

১২৫

থানায় এসে বললেন এক ভদ্রলোক, আমার স্ত্রী হারিয়ে গেছেন।
ইন্সপেক্টর: কবে?
ভদ্রলোক: এক মাস আগে!
ইন্সপেক্টর: তাহলে এত দিন পর বলছেন কেন?
ভদ্রলোক: গতকাল পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, আমি স্বপ্ন দেখছি!

১২৪

দিয়া: বুঝলি, সবকিছু ঠিকঠাক মতোই হচ্ছিল। কিন্তু কাজি সাহেব যখনই আমাদের বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন, ইফতি তখনই দৌড়ে পালিয়ে গেল।
মৌটুসী: কেন? সাহস হারিয়ে ফেলেছিল বুঝি?
দিয়া: না, সাহস ফিরে পেয়েছিল!

১২৩

নেচে-গেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নতুন বছরের আগমন উদ্যাপন করছিল মারুফ। হঠাৎ দেখল, এক বুড়োও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছে।
মারুফ: আরে চাচা, আপনি তো দেখছি এ বয়সেও বেশ সুস্থ আছেন। কীভাবে এমন থাকলেন?
বুড়ো: আর বোলো না, জীবনে কখনো ব্যায়াম করিনি। নেশাদ্রব্য তো খাই নিয়মিতই। অসুখ হলে ডাক্তারও দেখাই না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াই...
মারুফ: বলেন কী? আপনার বয়স কত?
বুড়ো: ৩০।

১২২

নববর্ষের রাতে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরেছে জ্যাক। বাড়ি ফিরেই বউয়ের ভয়ে একটা বই খুলে পড়তে শুরু করল সে।
খানিক বাদে তার স্ত্রী এল ঘরে। বলল, ‘আবারও মাতাল হয়ে এসেছ, তাই না?’
জ্যাক: কই? না তো!
স্ত্রী: তাহলে সুটকেস খুলে কী এত বকবক করছ?

১২১

পল্টু হেঁটে যাচ্ছিল বনের ভেতর দিয়ে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। হঠাৎ শোনা গেল অশরীরী আওয়াজ, ‘পল্টু’।
পল্টু: কে? কে কথা বলে?
অশরীরী: ভয় পেয়ো না। আমি ইচ্ছাপূরণ দৈত্য। আজ এই শুভদিনে আমি তোমার একটি ইচ্ছা পূরণ করব। বলো, কী চাও তুমি?
সাহস ফিরে পেল পল্টু। বলল, ‘আমার জন্য পুরো বিশ্ব পরিভ্রমণ করে আসবে, এমন একটা ট্রেন সার্ভিস চালু করে দাও, যেন আমি ঘুরে ঘুরে সব দেশের নববর্ষের উৎসব উপভোগ করতে পারি।’
দৈত্য: এটা তো খুব কঠিন কাজ। তুমি বরং অন্য কিছু চাও।
পল্টু: তাহলে আমাকে এমন ক্ষমতা দাও, আমি যেন মেয়েদের মন বুঝতে পারি।
দৈত্য: ট্রেন কি এসি, নাকি নন-এসি লাগবে?

১২০

দুয়ারে নতুন বছর। ভাগ্যের হালচালটা জেনে নিতে হাবলু হানা দিল এক জ্যোতিষবাবার আস্তানায়। বলল, ‘বাবা, কদিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?’
জ্যোতিষবাবা: হুম্! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। আসছে বছর তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
হাবলু: বাবা, আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়।

জ্যোতিষবাবা: বলিস কী? তোর তো বিদেশযাত্রা শুভ!
হাবলু: (খুশিতে গদগদ হয়ে) বাবা, আমার ডান পা’টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে।
জ্যোতিষবাবা: দূর ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা।

১১৯

নববর্ষের রাত। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায় পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
পুলিশ: কোথায় যাচ্ছেন?
উইলিয়াম: বক্তৃতা শুনতে।
পুলিশ: এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?
উইলিয়াম: আমার স্ত্রী।

১১৮

ছোট্ট জনি বলছে তার চাচাকে, ‘চাচ্চু! তুমি গত জন্মদিনে আমাকে যে ইলেকট্রিক গিটার কিনে দিয়েছিলে, সেটাই ছিল সবচেয়ে সেরা উপহার!’
চাচা: তাই! তুই খুব চমৎকার গিটার শিখেছিস বুঝি? তোর গিটার শুনে সবাই নিশ্চয়ই মুগ্ধ হয়?
জনি: না। সকালে গিটার না বাজানোর জন্য মা আমাকে প্রতিদিন ১০ টাকা দেয়। আর রাতে আমি যেন গিটার না বাজাই, সে জন্য বাবা দেয় ৫০ টাকা!

১১৭

বিয়ের পর মালিহার প্রথম জন্মদিন। স্বামী তাকে কতটা ভালোবাসে, যাচাই করে দেখার ইচ্ছা তার। উপহার হিসেবে মালিহা মনে মনে চাইছে একটা ঝা-চকচকে নতুন গাড়ি! কিন্তু সে কথা তো আর স্বামীকে সরাসরি বলা যায় না। ইনিয়ে-বিনিয়ে বলল মালিহা, ‘ওগো শুনছো! উপহার হিসেবে কী পেলে আমি সবচেয়ে খুশি হব, জানো? এমন একটা যন্ত্র, যার কাঁটা মুহূর্তে ০ থেকে ৯০-এ উঠে যায়!’
পরদিন মালিহা উপহার পেল... একটি ওজন মাপার যন্ত্র!

১১৬

ধনকুবের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর দাওয়াতে তাঁর বাড়ি গেছেন এক মন্ত্রী।
ব্যবসায়ী: মাননীয় মন্ত্রী, খুব খুশি হব যদি আপনি আমার এই সামান্য উপহার গ্রহণ করেন। একটি নতুন মডেলের গাড়ি!
মন্ত্রী: কিন্তু আমি তো এটা নিতে পারি না।
ব্যবসায়ী: বুঝতে পেরেছি, বিনা মূল্যে গাড়িটি গ্রহণ করতে আপনার ইতস্তত বোধ হচ্ছে। না, সে ক্ষেত্রে আপনি আমাকে ৫০ পয়সা দিন। বিনিময়ে গাড়িটি গ্রহণ করুন।
মন্ত্রী ব্যবসায়ীকে এক টাকা দিলেন। ব্যবসায়ী বললেন, ‘আমার কাছে তো ভাংতি নেই। ভাংতি করিয়ে দেব?’
মন্ত্রী: না না! কষ্ট করতে হবে না। আপনি বরং আমাকে দুটি গাড়ি দিয়ে দিন।

১১৫

মকবুল সাহেবের দুই যমজ ছেলে। এক ছেলে ভীষণ নিরাশাবাদী, অন্যটা খুবই আশাবাদী। একবার দুই ছেলের জন্মদিনে মকবুল একটা ফন্দি আঁটলেন। নিরাশাবাদী ছেলেটার ঘরে রাখলেন অনেক খেলনা, আর আশাবাদী ছেলেটার ঘরে রাখলেন একটা দড়ি। কী হয়, দেখার ইচ্ছা তাঁর।
কিছুক্ষণ পর গেলেন নিরাশাবাদী ছেলের ঘরে। দেখলেন, ছেলেটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বললেন, ‘কি রে, কাঁদছিস কেন?’
ছেলেটি বলল, ‘এত খেলনা দেখে আমার বন্ধুরা হিংসায় জ্বলে যাবে। কদিন পর পর ব্যাটারি কিনতে হবে। তারও কদিন পর তো ভেঙেই যাবে। এখন এত খেলনা দিয়ে আমি কী করি?!’
মকবুল সাহেব এবার গেলেন আশাবাদী ছেলের ঘরে। ঘরে ঢুকতেই ছেলেটা দৌড়ে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ধন্যবাদ বাবা! ঘোড়াটা কোথায় রেখেছ?!’

১১৪

তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স সিগারেট।
পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায় গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।
তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় দশা। বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দেশলাই হবে?’

১১৩

দুই কয়েদি পালিয়েছে জেল থেকে। আবার যখন তাদের আটক করা হলো, কারারক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা জেল থেকে পালিয়েছিলে কেন?’
১ম কয়েদি: কারণ, জেলখানার খাবার খুবই জঘন্য। খাওয়া যায় না।
কারারক্ষক: কিন্তু তোমরা জেলের তালা ভাঙলে কী দিয়ে?
২য় কয়েদি: সকালের নাশতার রুটি দিয়ে!

১১২

বাড়ির সামনে প্রতিবেশী বাচ্চাগুলোকে খেলতে দেখে রহমান সাহেব বললেন, বাচ্চারা, খেলছ ভালো কথা। কিন্তু আমার গাড়িতে যেন বল না লাগে।
এক বাচ্চা বলে উঠল, অবশ্যই আঙ্কেল, আপনার গাড়িটাই তো আমাদের গোলপোস্ট। আমরা গোল হতে দিলে তো!