আসুন অনেক হাসি

মন কে প্রফুল্ল এবং সদা সতেজ রাখবার জন্য 'হাসি' র কোন বিকল্প নেই। প্রমাণিত যে 'হাসি' মানুষের হৃদ সাস্থকে ভাল রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের মত নীরব ঘাতক কে দূরে রাখে। আর কৌতুক পড়ে হাসি পায় না এমন মানুষ খুব কম আছে। তাই হাসুন ,অনেক হাসুন, প্রাণ খুলে হাসুন। হাসতে কখনো কার্পণ্য করবেন না। আমার সংগৃহীত এই কৌতুক গুলো পড়ে যদি আপনি অনেক হাসেন তবে আমার এই ব্লগের সার্থকতা।

Feb 4, 2013

১৫৮

~ যখন তুমি হাসো, মনে হয় মানুষ বাঁদর ছিল। 
~ দেখো, রাগ কোরো না। 
   যখন তুমি রাগো, মনে হয় মানুষ এখনো বাঁদরই আছে।

১৫৭

এক লোক বাসে করে মোবাইল ফোনে অনেক জোরে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিল।
: না না, রেজা সাহেব, তিন কোটির নিচে আমি কিছুতেই ডিল ফাইনাল করতে পারব না।...আরে নাম বলব না, গত মাসে এক পার্টির সঙ্গে তো পুরো পাঁচ কোটিতে রাজি হলাম। কী বললেন? দুই কোটি? ভাইরে, আমার মাসের বাজারের পয়সাও তো উঠবে না।
লোকটি কথা বলেই চলেছে, এমন সময় পাশ থেকে এক পিচ্চি তার শার্ট ধরে টান দিল।
: এক মিনিট, রেজা সাহেব। এই বাবু, কী হয়েছে তোমার? আমার শার্ট ধরে টানছ কেন?
: আংকেল, আপনার মোবাইলটা অনেকক্ষণ ধরে আপনার হাতের ভেতরেই বাজছে। প্লিজ, সবুজ বাটনটা প্রেস করুন।

১৫৬

চার্চিল একবার তাঁর পাশের কক্ষে অবস্থানরত এক মন্ত্রীকে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে শুনে বিরক্ত হয়ে তাঁর সেক্রেটারিকে পাঠালেন আস্তে কথা বলার জন্য। সেক্রেটারি ফিরে এসে বলল, ‘স্যার, উনি স্কটল্যান্ডে কথা বলছেন।’ চার্চিল বললেন, ‘আমি জানি। তাঁকে বলো টেলিফোন ব্যবহার করতে।’

১৫৫

চার্চিলের আশিতম জন্মদিনে এক আলোকচিত্রী ছবি তুলছিলেন। ছবি তুলতে তুলতে একসময় ভদ্রতা করে বলেন, ‘আপনার শততম জন্মদিনেও আমি ছবি তুলতে চাই।’
মৃদু হেসে চার্চিল বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুলবে। তোমার স্বাস্থ্য তো বেশ ভালো আছে।’

১৫৪

মেয়ে সারা যে ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন, তাকে দু চোখে দেখতে পারতেন না বাবা উইনস্টন চার্চিল। একদিন দুজনে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এ সময় মেয়ে-জামাই প্রশ্ন করল, ‘যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন, এমন কেউ আছেন কি?
চার্চিল প্রায় গর্জন করে করে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, একজন আছেন। মুসোলিনি। তিনিই একমাত্র লোক যে কিনা নিজের মেয়ে-জামাইকে গুলি করে মারার সাহস দেখিয়েছিলেন।’

১৫৩

  • আমি ডেন্টিস্ট সাহেবের সঙ্গে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে চাই।
    : উনি তো এখন বাইরে আছেন।
    : বাঁচালেন ভাই, তা আবার কখন এলে তাকে পাব না?
     
  • এই শোনো, আজ দুস্থ সেবাশ্রম থেকে পুরোনো কাপড়চোপড় চাইতে দুজন লোক এসেছিল।
    : দিয়েছ কিছু?
    : হ্যাঁ, তোমার দশ বছরের পুরোনো শার্টটি আর গত সপ্তাহে কেনা আমার শাড়িটা দিয়েছি।

১৫২

টমাস আলভা অ্যাডিসনের গ্রামোফোন আবিষ্কার উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমন করে বসল, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না...।’
তরুণী বলেই যাচ্ছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই।
অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’

১৫১

মাঝরাতে স্ত্রী স্বামীকে ডেকে তুলল। ফিসফিস করে বলল, এই ওঠো, ওঠো। কাল আমি যে পুডিং বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছিলাম চোর ঢুকে সেই পুডিং খাচ্ছে!
স্বামী বিছানায় উঠে বসে বলল, কাকে ডাকব, পুলিশ না অ্যামবুলেন্স?

১৫০

ইংরেজ কবি ও ছোটগল্পকার রুডইয়ার্ড কিপলিং যে দৈনিক পত্রিকাটি রাখতেন সে পত্রিকায় একদিন ভুলবশত তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয়ে যায়। সংবাদটি দেখে তিনি ভীষণ রেগে যান। সঙ্গে সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদককে লিখলেন, ‘এইমাত্র আপনার পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম যে আমি মারা গেছি। আপনার গ্রাহক তালিকা থেকে আমার নামটি দয়া করে বাদ দেবেন।’

১৪৯

বাজার করে ফিরছিলেন এক লোক, পথে প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা।
: বুঝলেন ভাই, এ দেশে আর থাকা যাবে না। মানুষ এত অসৎ, তরকারিওয়ালা আমাকে একটা জাল ১০০ টাকার নোট গছিয়ে দিয়েছে।
: কই নোটটা দেখি।
: এখন আর সঙ্গে নাই। একটা মুদির দোকানে চালিয়ে দিয়ে এলাম।

১৪৮

এক ভদ্রমহিলা পাখির দোকানে গিয়ে জানতে চাইলেন, দেখুন, আমার দুটো ময়না আছে, একটা মেয়ে একটা ছেলে, কিন্তু আমি কী করে বুঝব, কোনটা ছেলে কোনটা মেয়ে?
দোকানি বলল, এ তো খুবই সোজা, আপনি ময়না দুটোর সামনে দুটো পোকা রাখবেন, যে ময়নাটা মেয়ে-পোকা খাবে সেটা ছেলে-ময়না, আর যেটা ছেলে-পোকা খাবে সেটা মেয়ে-ময়না।
: কিন্তু কোনটা মেয়ে-পোকা আর কোনটা ছেলে-পোকা সেটা চিনব কী করে?
: দেখুন, এটা পাখির দোকান। পোকার খবর জানতে চাইলে আপনাকে পোকার দোকানে যেতে হ

১৪৭

ফরাসি লেখক আলেকজান্ডার ডুমার সাক্ষাত্কার নিচ্ছিলেন এক জাঁদরেল সাংবাদিক। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, ‘আপনার পূর্বপুরুষ শংকর ছিলেন, এটা কি সত্যি?’ ডুমা উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সাংবাদিক আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর আপনার পিতামহ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ?’ ডুমা শান্তস্বরে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সাংবাদিক এবার বেশ জোর দিয়ে বললেন, ‘এবং আপনার প্রপিতামহ ছিলেন...।’ সাংবাদিক শেষ করার আগে ডুমাই উত্তর দিলেন, ‘বেবুন’ এবং সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আর আপনার যেখানে শেষ সেখান থেকেই আমার পূর্বপুরুষের শুরু।’

১৪৬

  • কাস্টমার: এই, তুমি এই রেস্টুরেন্টে কত দিন হয়কাজ কর?
    বেয়ারা: তিন মাস স্যার।
    কাস্টমার: ও, তাহলে তুমি সেই লোক না যে আমার অর্ডার নিয়েছে।
  • : তুমি কি লিজাকে বিয়ে করছ শুধু তার দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তির কারণে?
    : অবশ্যই না। অন্য কেউ রেখে গেলেও আমি ওকে বিয়ে করতাম।
  • : তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
    : এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
    : কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
    : আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার উপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।

১৪৫

  • এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য আমার কাছে কেন? একজন উকিলের কাছেযাওয়া উচিত।
    : না, সবাই বলল এই পরামর্শ যেকোনো মূর্খও দিতে পারবে।
  • আপনার স্ত্রীর অপারেশনে আমরা লোকাল অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার করব।
    : ডাক্তার, আমার অর্থের অভাব নেই, আমার স্ত্রীকে লোকাল কিছু দেবেন না। যা দেবেন সব যেন ইমপোর্টেড হয়।
  • স্বামী বলছেন স্ত্রীকে: শোনো। আমার যদি ব্যবসার কাজ শেষ না হয়, ফিরতে দেরি হয় তাহলে আমি তোমাকে টেলিগ্রাম করে জানিয়ে দেব।
    স্ত্রী: তার আর দরকার নেই। আমি এরই মধ্যে পড়ে ফেলেছি। তোমার কোটের পকেটে আছে।

১৪৪

পশ্চিম জার্মানির বিখ্যাত রেফারি রুডলফ ক্রিটলিন সব সময় মাঠে নামতেন একটা ফিতা হাতে নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সব খেলার আগে সেই ফিতা দিয়ে গোলপোস্টের দৈর্ঘ্য, উচ্চতা এবং মাঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ মেপে নিতেন খুব সতর্কতার সঙ্গে। অনেকের কাছে ব্যাপারটি অতি পণ্ডিতি মনে হতো। কিন্তু আসল খবর কেউ জানত না। ক্রিটলিন পেশায় ছিলেন একজন দর্জি।

১৪৩

এক হকার পেপার বিক্রি করতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়ল। কেউই কিনছে না। সে পেপার খুলে দেখল, আজ বারাক ওবামার কোনো খবরই ছাপা হয়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার
করে পেপার বিক্রি শুরু করল, ওবামার কোনো খবর নাই, ওবামার কোনো খবর নাই।
সঙ্গে সঙ্গে তার সব পেপার বিক্রি হয়ে গেল।

১৪২

স্বামী: সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো?
শিক্ষিত স্ত্রী: সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী: ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি? ওটা তো বিয়ে।

১৪১

  • কফির সঙ্গে হালকা দুধ মেশালে যে রঙের হয় সে রঙের টাই আছে?
    : চিনি ছাড়া না চিনিসহ?
  • বস: তুমি wife dying বলে অফিস কামাই দিলে অথচ আমি দেখলাম তোমার স্ত্রী একটি বিউটি পারলার থেকে বেরোচ্ছে।
    স্টাফ: স্যার ঠিকই দেখেছেন আমি ‘হেয়ার ডাইং’-এর কথাই বলতে চেয়েছিলাম।

১৪০

খুবই দুঃখের বিষয় যে আপনার পুরো বাড়িটা ঘূর্ণিঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। 
আবার ভেতরে আপনার স্ত্রীও ছিলেন...
একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। 
অনেক দিন ধরে ও বাড়িসুদ্ধ সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যেতে চাচ্ছিল।

১৩৯

  • বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? জবাবে আরেক বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।’
  • আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে। আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি। আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।
  • স্ত্রী ও চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কী?
    —চুম্বকের একটি পজিটিভ দিক আছে। 
  • ৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
    —না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
  • গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি ১০ পাউন্ড ওজনের একটা হটডগ খাচ্ছি। সকালে উঠে দেখি আমার কোলবালিশটা নেই।

১৩৮

লোক: আপনি কি জানেন, বিয়ের আগে আপনার স্বামীর পেছনে সোনালি চুলের গাধা টাইপের একটা মেয়েঘুরঘুর করত?
মহিলা: আমি এখন চুল কালো করে ফেলেছি।

১৩৭

স্বামী: তোমার জ্বালায় আর ভালো লাগে না। চললাম আমি নদীতে ঝাঁপ দিতে।
স্ত্রী: কিন্তু তুমি তো সাঁতার জান না।
স্বামী: রাগের সময় এসব মনে করিয়ে দাও কেন?

১৩৬

প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাত্কার নিতে এসে সাংবাদিক জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, আপনি বিয়ে করেননি কেন?’ মুচকি হেসে রাজনীতিবিদ বললেন, ‘এর পেছনে রয়েছে একটি ঘটনা। আজ থেকে বিশ বছর আগে একদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমার সামনেই বসে ছিলেন শাড়ি পরা এক মহিলা। আমি চেয়ার থেকে উঠতে গেলে হঠাত্ তাঁর শাড়িতে একটু পা লেগে যায় আমার। নিচের দিকে তাকিয়েই মহিলা গাধা, উল্লুক, টিকটিকি, বেবুন, হনুমান, মুখপোড়া বলে শুরু করেন গালাগাল। হঠাত্ মুখ তুলে আমাকে সামনে দেখতে পেয়ে বলেন, “দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ”।’

১৩৫

আফ্রিকার জঙ্গলে বেড়াতে গেছেন এক পর্যটক। বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে গাইডের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
পর্যটক: এখানে কোনো মানুষখেকো জংলি নেই তো?
গাইড: নাহ্। নেই।
পর্যটক: আপনি নিশ্চিত?
গাইড: অবশ্যই। কারণ শেষ যে মানুষখেকোটা ছিল, ওটাকে আমরা গত পরশু খেয়ে ফেলেছি!